অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন যুব সমাজকে কারিগরি শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুবকরাই সমাজ বদলে দিতে পারে। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষিত বেকারত্ব আমাদের মূল সমস্যা। সবাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে চাকরির পিছনে ছোটে, অথচ বিদেশে গিয়ে সাধারণ কাজ করে। দেশে ছোটখাটো উদ্যোগ নেওয়ার মানসিকতা বাড়াতে হবে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত "যুবকদের সংস্কার ভাবনা: কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি" শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বর্তমানে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বাড়ছে। সরকারি গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করেন, যা শ্রম অধিকার ও প্রশিক্ষণে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন "কর্মসংস্থান অধিদপ্তর" প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে ৯০% নারী শ্রমিক গৃহকর্মী, কিন্তু কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন শ্রমিকের অভাব। অথচ বাংলাদেশে স্ট্রিট ফুড ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা থাকলেও যুবকরা এদিকে আগ্রহী নয়।
বক্তারা বলেন, দেশের চাকরি প্রত্যাশী রাত সরকারি চাকরি বিসিএস জন্য চেষ্টা করে। সবাইকে কারিগরি শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আলোচনাকে অপরিপক্ব বলে মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে শিখো’র প্রতিষ্ঠাতা, শেয়ারট্রিপের সিইও, বিডি জবসের প্রধান এবং লেদারগুডস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা যুবসমাজকে সরকারি চাকরির পাশাপাশি কারিগরি ও উদ্যোক্তামূলক পেশায় আকৃষ্ট হওয়ার পরামর্শ দেন।
সিপিডির এ সম্মেলনে বিভিন্ন পর্যায়ের চাকরিপ্রার্থী যুবক গবেষক ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নেন।