ঈদ-উল-আযহা সামনে রেখে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ঈদকে ঘিরে পশুর হাট, কোরবানির আয়োজন, চামড়া কেনা-বেচা, ঈদের জামায়াত ও ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাবের টহল, গোয়েন্দা নজরদারি এবং মোবাইল কোর্টসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
র্যাব সূত্র জানায়, পশুর হাটে জাল টাকা প্রতিরোধে হাটে স্থাপন করা হয়েছে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন। হাটে আগত বিক্রেতা ও ক্রেতাদের এই সেবা গ্রহণে আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জাল টাকা তৈরি ও সরবরাহকারী চক্রের বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে ভালো করছি বলব না: অর্থ উপদেষ্টা
এছাড়াও পশু হাটকে কেন্দ্র করে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দালাল চক্র, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য রোধে র্যাব সদস্যরা নিয়মিত টহল এবং সাদা পোশাকে নজরদারি চালাচ্ছেন। অসুস্থ বা রাসায়নিক ইনজেকশন দিয়ে মোটাতাজা করা গরু শনাক্তে পশু চিকিৎসকের সহায়তায় অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ধরনের পশু বিক্রেতার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
পশুর হাটে সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসন নির্ধারিত হারে হাসিল আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও, কেউ অতিরিক্ত হাসিল আদায় করলে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ব্যবস্থা রয়েছে।
র্যাব জানায়, ঢাকামুখী পশুবাহী ট্রাক বা গরুবাহী যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি ঠেকাতে হাইওয়ে ও প্রবেশমুখে বিশেষ নজরদারি ও টহল চালানো হচ্ছে। এ বছর অনলাইনভিত্তিক পশু ক্রয়-বিক্রয়ের পরিমাণ বেশি হওয়ায় র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক ভার্চুয়াল নজরদারি করছে, যাতে কেউ প্রতারণার শিকার না হয়।
পশুর চামড়ার বাজারে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা রুখতেও গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো হচ্ছে। প্রয়োজন হলে চামড়া সিন্ডিকেট বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানায় র্যাব।
মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে পশুর হাটে ইভটিজিং বা হয়রানি রোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ হয়রানির শিকার হলে র্যাব কন্ট্রোল রুম অথবা মোবাইল টিমকে তাৎক্ষণিক জানাতে বলা হয়েছে।
র্যাব ফোর্সেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “ঈদকে ঘিরে সৃষ্ট যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাব সর্বোচ্চ প্রস্তুত। দেশের মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদ্যাপন করতে পারে, সে লক্ষ্যে প্রতিটি র্যাব ব্যাটালিয়ন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”
যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে বা অভিযোগ জানাতে র্যাবের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের জন্য সাধারণ জনগণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।