আজ - | | হিজরী

ডা. জাফরুল্লাহর স্বপ্নের গণস্বাস্থ্য এখন লুটপাটের কারখানা

News Probashirkotha24.com
  • আপডেট টাইম :   শুক্রবার | জুন ১৪, ২০২৪ | ১২:০০ এএম
  • ৯৯৫৪ বার
বিশেষ প্রতিনিধিঃ

 

ডা. জাফরুল্লাহ মৃত্যুর ২ বৎসর পেরুত না পেরুতে তার স্বপ্নের জাতীয় গনস্বাস্থ্য ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে যে যারমত লুটপাট করে চলছে দেখার কেউ নাই। আমাদের প্রতিনিধির অনুসন্ধানে ধীরে ধীরে তথ্য বের হচ্ছে। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে হেলথ কেয়ার ট্রাস্টের ২০ কোটি টাকা হাওয়া। উন্নয়ন প্রকল্পের ৩ কোটি টাকা লোপাট। ফার্মাসিউটিক্যালসের ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ। ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ৫ হাজার গাছ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ। ট্রাস্টিদের মধ্যে বিরোধ, পাল্টাপাল্টি মামলা। এই পর্যন্ত  ২৪ টি মামলার খবর পাওয়া গেছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ডা. আখতার আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নাজিমুদ্দিন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. সিতারা বেগম মিলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। বৃহৎ ও মহৎ  উদ্দেশ্য ছিল ডা.জাফরুল্লাহ গং দের। গণমানুষের দুঃখ কষ্ট কে বুকে ধারন করে চিকিৎসাশাস্ত্র পড়তে বাংলাদেশের ছাত্র ছাত্রীরা লন্ডনে না গিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পড়বে। দেশের   মধ্যবৃত্ত, গরীব অসহায় ছাত্র ছাত্রীরা উপকৃত হবে।    গণস্বাস্থ্য  প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে যে কাজ শুরু করেছিলেন, এরপর গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টের অধীনে একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তারা। বর্তমানে এ ট্রাস্টের অধীন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০। এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পদমূল্য ২০ হাজার কোটি টাকা।
মৃত্যুর আগপর্যন্ত একটু একটু করে তার বিস্তার বাড়িয়েছেন। কিন্তু তার মৃত্যুর বছর না পেরোতেই প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে বিরোধ, দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ, বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কার, অর্থ আত্মসাতের মতো ঘটনায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যহানি ঘটে চলেছে। বর্তমানে সরকারের উর্চ্চ পর্যায়ের তদন্ত প্রয়োজন। বিশিষ্ট জনদের মত। দুদকের তদন্ত কমিটি করে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দেশের বৃহৎ স্বার্থে দুনীতিবাজদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিৎ।


লাইফস্টাইল ক্যাটেগরির আরো সংবাদ