আজ - | | হিজরী

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ-সেমিনারে জাপানের রাষ্ট্রদূত ♦♦ র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ১৬ মাস পর বাড়িতে রহমত উল্লাহ, মায়ের চোখে আনন্দাশ্রু ♦♦ এক-এগারোর সর্বনাশ! দুই-এগারোর রাহুগ্রাস! ♦♦ প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে উদ্ধার অভিযানে-লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস ♦♦ পুলিশ অপ্রয়োজনীয় শক্তি প্রদর্শন করবে না : সিটিটিসি প্রধান ♦♦ বেশি দামে ডলার কেনার ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ♦♦ দাঁড়াতে পারছেন না স্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তারা-ব্যবসাবাণিজ্যে বিপজ্জনক খরা ♦♦ মঞ্চ প্রস্তুত আরেকটি এক-এগারোর? ♦♦ এনআইডির তথ্য বেহাত, কম্পিউটার কাউন্সিলের সাথে ইসির চুক্তি বাতিল ♦♦ নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি ♦♦ কমিশনের সুপারিশ ঘিরে প্রশাসন ও অন্য ক্যাডারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে ♦♦ তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ ♦♦ ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক: নগর সুশাসনে নতুন উদ্যোগ ♦♦ ম্যান ইউনাইটেড বনাম বোর্নমাউথ: প্রিমিয়ার লিগে লাইভ আপডেট ও বিশ্লেষণ ♦♦    

হাইকোর্টে কিছু বিচারকের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে : আইন উপদেষ্টা

News Probashirkotha24.com
  • আপডেট টাইম :   রবিবার | অক্টোবর ২০, ২০২৪ | ১১:৩২ পিএম
  • ৮৪০০ বার
নিজস্ব প্রতিবেদক ,

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, হাইকোর্টে কিছু বিচারক আছেন, যাদের ব্যাপারে সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। উনারা গত জুলাই গণবিপ্লবে পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির নিপীড়ক যন্ত্রে পরিণত হয়েছিলেন।

সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

 

ড. আসিফ নজরুল বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউয়ের আবেদন নিষ্পত্তির মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, এটা নিয়ে কিছুটা ‘কনফিউশান’ ছিল। আজকের আদালতের রায়ের মাধ্যমে তা দূর হয়েছে। সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল এখন সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করা যাবে।

বর্তমান সময়ের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে উল্লেখ করে ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের হাইকোর্টে কিছু বিচারক আছেন, যাদের ব্যাপারে সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। উনারা গত জুলাই গণবিপ্লবে পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির নিপীড়ক যন্ত্রে পরিণত হয়েছিলেন। তাছাড়া কারো কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। এজন্য তাদের নিয়ে ছাত্র-জনতার অনেক ক্ষোভ রয়েছে। এসব ক্ষোভ সাংবিধানিকভাবে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার একটি পথ খুলে গেছে।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন। উচ্চ আদালত তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবেন। তবে আমরা মনে করি, এখন অন্তত ছাত্র-জনতা তাদের অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করার জন্য একটা উপযুক্ত ফোরাম পেল। আমরা এটার একটা ইতিবাচক অগ্রগতি দেখতে চাই।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে সংবিধানেই বলা আছে। প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম দুজন বিচারক মিলে এই কাউন্সিল গঠিত হয়। কেউ যদি আজই সেখানে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন, তাহলে সেটির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল যখন বাতিল ছিল তখন উচ্চ-আদালতের বিচারকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ফোরাম ছিল না। আবার জবাবদিহি নিশ্চিত করার ইচ্ছাও তৎকালীন উচ্চ আদালতের প্রশাসনের ছিল না। কারণ তখন উনাদের ফরমায়েশি রায় হয়েছিল। আপনারা জানেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কি রকম রায় হয়েছে! তারেক রহমানকে বাংলাদেশে কথাই বলতে দেয়া হয়নি! বাক-স্বাধীনতা রুদ্ধ করার মতো এমন রায়ও হয়েছে।

এছাড়া বহু মানুষ তাদের মানবাধিকার রক্ষা করার সুযোগ পাননি। বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে যারা কর্তৃপক্ষ রয়েছেন, আদালতের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সদিচ্ছা তাদের আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। এবার সেটা বাস্তবায়ন করার ফোরামও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।


জাতীয় ক্যাটেগরির আরো সংবাদ