মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার রশুনীয়া ইউনিয়নের রশুনীয়া গ্রামের মরহুম আব্দুল মান্নান এর ছেলে শাহজালাল(পান কবিরা) তিনি অসহায় মানুষদের সু-যোগে, সু-কৌশলে নিজের আয়ত্তে এনে যেমন খুশি তেমনি নাচায়, প্রতিনিয়ত হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা! অনুসন্ধ্যানে গেলে সরেজমিনে দেখা যায় তিনি নিজ বাড়িতে ভন্ডামির আসন বশিয়ে রুগি দেখে, তার বসার স্থানে একটি সাউন্ড সিস্টেম এর মাধ্যমে মোবাইলের ইউটিভ হইতে বিভিন্ন্য রকমের গান ও গজল বাজিয়ে রুগিদের দেখে, ঐ সময় প্রতি রুগিদের হতে থাকতে হয় একটি করে স্মার্ট ফোন, তার বসার আসনের পাশেই অনেক কয়েকটি পানি ভর্তি গ্লাস রয়েছে গ্লাসের অপর প্রান্তে রয়েছে হরেক রকমের ক্যালেন্ডার আর সেই স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে গ্লাসের আশে পাশে মোবাইল ঘুরিয়ে ছবি তুলে রুগিদের দেখায় আর বলে তোমাকে জ্বীনে দরেছে, তোমাকে বান মেরেছে ,তোমার স্বজনরা ক্ষতি করেছে, চালানি দিয়াছে,কবরস্থানে সাদা কাপনের কাপুরের পুতুলের উপরে তাবিজ লিখে তোমাকে বান মেরেছে, তিন দিন পরে আসলে বলে দিব কোন কবরস্থানে তোমাকে কাফনের কাপুর দাড়া পুতুল বানিয়ে বান মেরেছে, রুগিরা অন্ধ বিশ্বাশে বিশ্বাসি হয়, আর সেই সু-যোগে তার লালিত পালিত মনির নামে একজন সিএনজি চালক রয়েছে, আরো দুইজন তাবিজ লেখক রয়েছে তাদের সাথে নিয়ে রুগিদের এলাকার কবরস্থানে গিয়ে ঐ পুতুল রেখে আসে, তিন দিন পর যখন রুগি আসে তখন ঠিক ঠাক বলে দেয় অমুক কবরস্থানে জান গেলে দেখবেন প্রথম তিনটি কবরের পরে যে কবরটি রয়েছে তার মাঝখাঁনে মাটি খুটলেই পেয়ে যাবেন পুতুল, তাবিজ, যেমন কথা তেমনই কাজ পেয়ে গেলো কবিরাজের কথা মতো, আর কি অবিশ্বাস করা যায়, তখন তাকে বানায় মুরগি! এর পর রুগিদের বলে একুশ পুরের তিন কেজি লাল মাটি লাগবে এনে দিতে পারলে বান কাটা যাবে, রুগিরা অসহায় হয়ে পরে, কবিরাজকে বলে মামা আমরা ঐ মাটি কোথায় পাবো আপনিই এনে দিন, এইতো সু-যোগ আর ঠেকায় কে, তখন ভন্ড কবিরাজ বলে প্রতি কেজি মাটি আনতে ৬ হাজার টাকা তিন কেজি মাটির দাম ১৮ হাজার টাকা, যে এনে দিবে তার রোজ দুই হাজার টাকা মোট ২০ হাজার টাকা এর পর তিন টা তাবিজ লাগবে প্রতিটি তাবিজের হাদিয়া ১১০০ টাকা, নির উপায় হয়ে বান তো কাটাতে হবে উপায় নাই, অনুসন্ধ্যানে আরো জানা যায় রমজান মাশে দিনের বেলায় সারাদিন পান মুখে থাকে, আরো একটি বিশেষ নজরে আসে তাবিজ লেখক রয়েছে তিন জন এর মধ্যে একজন মেয়ে ঐ মেয়েটি মাশে ত্রিশ দিনই তাবিজ লিখে আপনারাই বলুন ইসলাম কি বলে,মেয়েরা কি মাশে ত্রিশ দিন পবিত্র থাকে, আমরা বেশ কয়েকজন আলেমদের নিকট জেনেছি তাবিজ লেখার নিদ্ধিস্ট সময়, দিন, খন, আছে পবিত্রতা তো আছেই, পান কবিরাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার যখন মন চাইবে তখনই যাকে খুশি তাকে দিয়ে তাবিজ লেখিয়ে দিবো, এর কোন নিয়ম আমি মানি না! কয়েক দিন পূর্বে পবিত্র কোরআন শরিফ টেবিলে ছুরে মারে আমেদের আখেরি নবী হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা( সঃ)আঃ নামে বাজে মন্তব্য করে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে এলাকার মুসল্লিরা ঐ দরবারে হামলা চালায় ভাংচুর করে ভন্ডামী বন্ধ করে দিয়াছিল! এক পর্যায় অবৈধ টাকার বিনিময় সিরাজদিখান থানা পুলিশকে ও রশুনীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সু-কৌশলে ম্যানেজ করে আবারও সুরু হয় ভন্ডামী,