!
নিখোঁজের ৫ দিন পর জাকির হোসেন (১৯) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে নিহতের পিতা আলম বাদশা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১১(১২)২৩। এদিকে গত সোমবার লাশ উদ্ধারের ওই দিন রাতে বন্দর ফাঁড়ি পুলিশ সুদূর বরিশালে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততা থাকার অপরাধে ২ জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তস্বার্থে পুলিশ আটককৃত আসামীদের নাম ঠিকানা গনমাধ্যমে প্রকাশ করেনি। আটককৃতরা বন্দর থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নিহত জাকির হোসেন লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার দিগলটারি গ্রামের দিনমজুর আলম বাদশা মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তারা বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের কদম রসুল কলেজ মাঠপাড়া এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া বলে জানাগেছে। এর আগে গত বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টায় উল্লেখিত এলাকা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে ওই যুবক নিখোঁজ হয়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত সোমবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসী মহনপুর কবরস্থান সংলগ্ন একটি জমিতে অজ্ঞাত নামা লাশ দেখতে পেয়ে বন্দর থানা পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে খবর পেয়ে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর ফাঁড়ি ইনর্চাজ পুলিশ পরির্দশক রেজাউল করিম জানান, জাকির হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার তদন্তস্বার্থে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে এখন কোন তথ্য দিতে পারছি না।
উল্লেখ্য , জাকির হোসেন গত ২ মাস পূর্বে জাকির হোসেন তাদের গ্রামের বাড়ি থেকে বন্দরে কদম রসুল
মাঠপাড়া এলাকায় তার পিতার ভাড়াটিয়া বাড়িতে বেড়ােত আসে। এর ধারাবাহিকতয় গত বুধবার বিকেল ৫টায় জাকির হোসেন নামে এক যুবক জীবিকার তাগিদে তার পিতার মিশুক নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। তার ব্যবহারকৃত ০১৭৭২০৫০৮৬৬ ও ০১৯৬১৭১১০৩৭ নাম্বার মোবাইল ফোন দুইটি বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক স্থানে খোজাখুজি করে নিখোঁজ যুবকের কোন হদিস না পেয়ে এ ব্যাপারে নিখোঁজের পিতা আলম বাদশা গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্