আওরঙ্গজেব কামাল : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকা প্রতীকে ভোট চাইলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। রোববার দুপুরে ঢাকা জেলার সাভার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগকালে দোয়া এবং নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি আহবান জানান তিনি। এসময় জনগনের মাঝে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপিা। গনসংযোগকালে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন চলমান রাখতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। এজন্য সকলের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি। একই সাথে আবারও নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। এসময় তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে একটি ভূ-খন্ড, মানচিত্র, সংবিধান, জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় পতাকা উপহার দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী পেয়েছেন সে দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে গেছে এবং আরও এগিয়ে যাবে দেশ। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র প্রায় দুই দশকের শাসনামলের দেশের অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ফলে দেশের উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আনতে হবে।এসময় সাভার পৌর যুবলীগ নেতা মোমতাজুল হক জনীসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান দায়ীত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি সুনামের সাথে কাজ করেছেন। জনকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ একজন রাজনীতিবিদ। তিনি সুদীর্ঘকাল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন। ১৯৫৭ সালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে এম.বি.বি.এস ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে বি.সি.এস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে সরকারী চাকুরীতে প্রবেশ করে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত হয়ে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসন হতে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ডাঃ এনাম দেশের বৃহত্তম বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ‘এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তিনি স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ধ্বস, তাজরিন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ও রানা প্লাজা ধ্বসে হাজার হাজার আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে চিকিৎসা সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি দুঃস্থ, বেওয়ারিশ ও হত-দরিদ্র রোগীদের জন্য বিশেষ চিকিৎসা সেল চালু করে সমাজ সেবায় নিয়োজিত আছেন। এ লক্ষ্যে তিনি ‘এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ গঠন করেন।ডাঃ এনাম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এবং শিশু অধিকার ও প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে Parliamentary Caucus এর সদস্য হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়া তিনি Bangladesh Association of Parliamentarians on Population and Development (BAPPD) একজন সদস্য। তিনি ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এবং ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির একজন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর আজীবন সদস্য। তিনি প্রাইভেট হসপিটাল ওনার্স এসোসিয়েশন অব সাভার (ফোয়াস) এর প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন এর মহাসচিব হিসেবে নিয়োজিত আছেন।তিনি ১৯৬৯-এ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ১১ দফার ভিত্তিতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের বিরম্নদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেন। ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং নির্বাচন পরবর্তিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে সকল রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকহানাদার, রাজাকার, আলবদর ও সহযোগী বাহিনীদের উর্দূতে লেখা চিঠিপত্র বাংলায় অনুবাদ করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে শত্রুদের পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অনবদ্য অবদান রাখেন।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথে তিনি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তরসমূহকে দুর্নীতিমুক্ত করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।