এ ব্যাপারে সংঘর্ষে আহত ফটো সাংবাদিক রুবিনা শেখ বলেন, সংঘর্ষে সময় আমি ও আমার সহকর্মী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর গলি থেকে বের হয়ে ভিআইপি রোডে পার্ক এবং মাদ্রাসা বরাবর রোড ক্লোজ করছিলাম ঠিক তখনই সংঘর্ষকারীরা আমাদের লক্ষ্য করে ঢিল এবং হাতে থাকা ইস্টান ছুড়ে, আমার হাতে থাকা ক্যামেরা আইডি কার্ড নিয়ে ফেলে দেয় এবং বাম পায়ে আঘাত করে। একপর্যায়ে ব্যথা সহ্য করতে না পেরে মাটিতে মুখ থুবরে পরে যাই, গাছের ডাল, পাইপ রড হকিস্টিক দিয়ে নির্যাতনের শিকার হয় আমার মত বহু সংবাদকর্মী,
কয়েক জন পুলিশ সদস্য আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে পায়ের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ডাক্তার বাসায় ফুল বেড রেস্ট থাকার পরামর্শ দেন। আমার প্রশ্ন সাংবাদিকদের টার্গেট করেই কেন হামলা করেছিল,
শনিবার সংঘর্ষের ঘটনায় আরও আহত হয়েছেন নিউএজের বিশেষ প্রতিনিধি আহমেদ ফয়েজ, বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল, নিজস্ব প্রতিবেদক জোবায়ের আহমেদ ও ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন, জেটিভির ফটো সাংবাদিক রুবিনা শেখ, খোকা, সিনিয়র রিপোর্টার রবি তাজ, দেশ রূপান্তর পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আরিফুর রহমান রাব্বি, সংবাদ সংস্থা এএফপির প্রতিবেদক মুহাম্মদ আলী মাজেদ, শেয়ার বিজের প্রতিবেদক হামিদুর রহমান, ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক সিরাজুম সালেকীন, ব্রেকিং নিউজের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক কাজী ইহসান বিন দিদার ও আহসান হাবিব সবুজ, একুশে টিভির প্রতিবেদক তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরা পারসন আরিফুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার তানভীর আহাম্মেদ ও শেখ নাসির, দৈনিক ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুম, গ্রীন টিভির বিশেষ প্রতিনিধি রুদ্র সাইফুল্লাহ ও ক্যামেরাম্যান আরজু, ভোরের কাগজের ফটো সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ আনিস, নুরুজ্জামান শাহাদাৎ ও ক্যামেরাপার্সন আরিফুল ইসলাম পনি, কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ ফটো সাংবাদিক শেখ হাসান ও ফটো সাংবাদিক লুৎফর রহমান, দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের ভিডিও জার্নালিস্ট তাহির জামান প্রিয়, বাংলানিউজের জাফর আহমেদ এবং ফ্রিল্যান্সার মারুফ।
এদিকে, পেশাগত কাজে দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) সহসাংবাদিক সংগঠনগুলো। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো। বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, যে বা যারাই সাংবাদিকদের মারধর করেছে সেটা দুঃখজনক।
অন্যদিকে, আহত সাংবাদিকদের দেখতে শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
দেশের জনগণ, পুলিশ প্রশাসন এবং সকল দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে করে জানানো হচ্ছে সাংবাদিকরা কারো শত্রু নয় ।